পাটের এনথ্রাকনোজ রোগ
এ রোগ হলে কাণ্ডে কালচে দাগ পড়ে । দাগ ক্রমেই বড় হয়। অনেক সময় কাণ্ড ফেটে যায়। আশ নিম্ন মানের হয়।
১। জমি পরিস্কার পরিচ্ছন্ন এবং আবর্জনামুক্ত রাখতে হবে। ২। শুরুর দিকে আক্রান্ত গাছগুলোতে তুলে দূরে মাটিতে পুঁতে কিংবা পুড়ে ফেলতে হবে। ৩। মেনকোজেব গ্রুপের ছত্রাকনামক যেমন: ডাইথেন এম-৪৫ বা ম্যানার এম-৪৫ প্রতি ১০ লি. পানিতে ২০ গ্রাম বা মিশিয়ে গাছের গোড়ায় ৩-৪দিন অন্তর প্রয়োগ করতে হবে।
বীজ বপনের আগে বীজ শোধন করে নিতে হবে। বীজ শোধনের জন্য ভিটাভেক্স ২০০ (০.৪%)/প্রোভেক্স-২০০ (০.৪%) এর ব্যবহারে যথেষ্ট সুফল দেয়। পাটের প্রধান ছত্রাকজনিত রোগগুলো বীজ ও মাটি বাহী। বপনের আগে বীজ শোধনের ফলে রোগের প্রকোপ অনেক কমে যায়। শোধন করা সম্ভব না হলে বপনের আগে বীজ রোদে ভালভাবে শুকাতে হবে। ১. পাটের জমির পানি নিষ্কাসনের ব্যবস্থা রাখুন ২.আক্রান্ত জমিতে ২-৩ বছর দেশি পাটের আবাদ না করে তোসা পাটের আবাদ করা যেতে পারে। ৩. পাট কাটার পর গাছের গোড়া, শিকড় ও অন্যান্য পরিত্যাক্ত অংশ সংগ্রহ করে পুড়িয়ে ফেলতে হবে। ৪. নীরোগ পাট গাছ থেকে বীজ সংগ্রহ করতে হবে। গাছের ৭০% ফল পাকলেই বীজ কেটে ফেলা উচিত। দেরী করলে ছত্রাক সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।